তোকে লেখা শেষ চিঠিটা
-সুজাতা দাস
কৃষ্ণচূড়া গাছটা এখনও তোর প্রতিক্ষা করে-
সেই গাছটা রে-যেখানে তোর আমার কাটানো মুহূর্ত গুলো আজও সতেজ হয়ে আছে-বসন্তের ঐ ফুটে ওঠা সতেজ লালের মাঝে-
সেদিন চলে যাবার মূহুর্তে-তোর ঘামে ভেজা মুখটা আজও মনে করায়-
তোর পেলব হাতের স্পর্শ-
সেদিন পলাশের বনের কিছু আগুন তোর মাঝেও ছড়িয়েছিল-
যা আজও আমার পাথেও-
তোর শাড়িতে- ছুঁয়ে থাকা চোরকাঁটার মতো-আজও রয়ে গেছি আমি তোর সাথে-
ঠিক যেখানে তুই ফেলে চলে গেছিস-
(আমায় চিঠি লিখো,দাঁড়ানোর সময় নেই ) বলে-
আজও দাঁড়িয়ে আছি তোর প্রতিক্ষায়-সেদিনের সেই কৃষ্ণচূড়া গাছটার নিচে-যেমন প্রতি বসন্তে থাকি তোর প্রতিক্ষায়-
অনেক বসন্ত পেড়িয়ে আজ আমি পঞ্চাশ পেড়োনো এক মানুষ-তবুও আজও তোকেই ভাবি-তোর প্রতিক্ষাতেই থাকি-যদি তুই ফিরিস-
বসন্ত ফিরে যায়,আসে প্রখর চৈতি-শুকিয়ে যায় সমস্ত সৌন্দর্য-বর্ষার প্রতিক্ষায় তাকিয়ে থাকে সমস্ত বনাঞ্চল-তেমনই আমিও তোর প্রতিক্ষায় তাকিয়ে থাকি আজও-যা আমার নিয়তিই ঠিক করেছেন-
একগোছা কৃষ্ণচূড়া তুলে রাখলাম তোর জন্য-
তুই ফিরে এলে যদি গাছের ফুল ফুরিয়ে যায়-
যদিও শুকিয়ে ঝরে যাবে- একদিন আমার মতোই-তোর প্রতিক্ষায় থাকতে থাকতে-তবুও রাখি!!যদি ফিরিস তুই আমাকে দেওয়া কথা রাখতে-
তুই চিঠি দিতে বলেছিলি তাই লিখছি-কিন্তু ঠিকানাটা তুই দিসনি-তাই হয়তো পাঠানো হবে না- কোনও দিনই!!
আজও তোর মাঝে নিজেকেই খুঁজে ফিরি লাল মাটির ঘরটাতে-ওটাকে ফেলে যেতে পারিনি-তোর ভালোবাসার পরশ ছড়িয়ে আছে যে!!সব জায়গাতেই-
যদি কখনও আমি নেই জেনে তুই ফিরে আসিস-
কুলুঙ্গিতে রাখা থাকবে এই চিঠি তোর পড়ার জন্য-
তুই লিখতে বলেছিলি বলেই লিখলাম রে-
কিন্তু ঠিকানা জানা নেই বলে পোস্ট করা আর হলো না-
আমি না থাকলেও-তুই কিন্তু চিঠিতে পাবি আমাকে-তোর অনুভূতির স্পর্শে-
লাল মাটি- পলাশ কৃষ্ণচূড়া শিমূলের লাল-তোর যে খুব পছন্দের ছিল একসময়-আজ হয়তো ভুলেছিস তুই সব-কিন্তু আজও আমি তোর প্রতিক্ষায় ফিরে ফিরে আসি লাল মাটির দেশে-
আজও যে তোর প্রতিক্ষা-তোর ই আশা তে-
খুব ভালো লাগলো
অসাধারণ অভিব্যক্তি ধরা পড়লো কবির কলমে।
অনুপম অনুভবে লেখা দিদি।
পাঠে মুগ্ধ হলাম।